আজ গুগল সেজেছে বাংলাদেশের লাল-সবুজে

তারিখ: ২৬-০৩-২০১৩     Prothom allo 


আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস; আর ঠিক এই মহান দিনটিতেই প্রথমবারের মতো ডুডলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরল গুগল।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গুগলের হোম পেজে সবুজের পটভূমিতে বাবা মায়ের সঙ্গে একটি শিশু ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এ ডুডলে ফুটে উঠেছে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহর থেকেই এ বিশেষ ‘ডুডল’টি গুগলের হোম পেজে প্রদর্শিত হচ্ছে।
বিশেষ বিশেষ দিন, ঘটনা ও ব্যক্তিকে নিয়ে হোমপেজে বিশেষ ‘লোগো’ ফুটিয়ে তোলে গুগল। গুগলের এ বিশেষ লোগোকে বলা হয় গুগল ডুডল।
১৯৯৮ সাল থেকেই গুগলের হোমপেজে এই বিশেষ ডুডল প্রদর্শনের চল শুরু হয়েছে। তবে ১৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম গুগল বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো ডুডল তৈরি করল। অবশ্য বিশেষ এ ডুডলটি শুধু বাংলাদেশের ডোমেইন হোমপেজ গুগল ডটকম ডটবিডিতে দেখা যাচ্ছে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা গুগল হোমপেজের বিশেষ ডুডলের মাধ্যমে তুলে ধরেছে গুগল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বিশেষ ডুডল তৈরি করায় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক, বিভিন্ন ব্লগ, টুইটারে অসংখ্য ব্যবহারকারী গুগলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ডুডল কি?

বিভিন্ন ব্যক্তি, ঘটনা, বিশেষ দিন ও বিজ্ঞানীদের আশ্চর্য ঘটনা নিয়ে মজার ও অবাক করা বিশেষ লোগো অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগলের হোমপেজে ফুটিয়ে তোলা হয়। বিশেষ এ লোগোটিই ‘ডুডল’ নামে পরিচিত।

কীভাবে এল ডুডল?

১৯৯৮ সালের আগেই গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের বিশেষ লোগো পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, গুগলের বিশেষ মজার লোগোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ঘটনা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া আর প্রতিটি লোগোতে গুগলকে বিশেষভাবে তুলে ধরা। ২০০০ সালে ল্যারি পেজ, সের্গেই ব্রিন ও গুগলের ওয়েবমাস্টার ডেনিস হুয়াং মিলে ‘বাস্তিল ডে’র বিশেষ ডুডল তৈরি করেছিলেন। শুরুর দিকে বিশেষ বিশেষ ছুটির দিনগুলোর ডুডল তৈরি করত গুগল। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও গুগলের বিশেষ ডুডল জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এরপর থেকেই ডুডল তৈরিতে বিশেষ আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিল গুগল কর্তৃপক্ষ।

গুগলের ডুডল সংখ্যা

এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ডুডল তৈরি করেছে গুগল। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে এবারই প্রথম কোনো ডুডল তৈরি করল অনুসন্ধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

গুগল ডুডল কারা তৈরি করে?

গুগলের একদল কর্মী মিলে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করে গুগলের বিশেষ বিশেষ ডুডল। তবে ডুডল তৈরির ধারণা বিভিন্ন উত্স থেকে গ্রহণ করে। গুগল ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ও গুগলের কর্মীদের ধারণা থেকেই ডুডল তৈরি হয়। গুগলের ডুডলারস বা ইলাস্ট্রেটরের একটি বিশেষ দল ডুডল তৈরি করে থাকে।

কারা ডুডলের জন্য আবেদন করতে পারেন?

গুগল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিদিন অসংখ্য ডুডল তৈরির আবেদন জমা হয়। ব্যবহারকারীরাই এ আবেদন ইমেইলের মাধ্যমে গুগলকে পাঠান। ইমেইল ঠিকানাটি হচ্ছে proposals@google.com

বাংলাদেশের বিশেষ লোগোটির পেছনে

বাংলাদেশের অসংখ্য গুগল সার্চ ব্যবহারকারী দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে নিয়ে ডুডল তৈরির আবেদন করছিলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ডুডল তৈরি করতে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটসহ অসংখ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও গুগলের কাছে আবেদন করেছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে সাড়া না দিলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ এ ডুডল শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল।

খুশির খবর

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরের শুরুর দিকে গুগলে সার্চ করার সময় বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ একটি লোগো চোখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাশেদুল ইসলামের। রাশেদুল জানিয়েছেন, আমার অসম্ভব ভালো লাগছে। গুগলকে ধন্যবাদ। আশা করব বাংলাদেশের বিশেষ দিন ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ভবিষ্যতেও ডুডল তৈরি করবে গুগল।
 _________________________________________
মন্তব্য 
 

AKASH CHOWDHURY
২০১৩.০৩.২৬ ১২:৪৭
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চের গুগলে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ লোগো আমার অসম্ভব ভালো লাগছে।
গুগলকে ধন্যবাদ। আশা করি বাংলাদেশের বিশেষ দিন নিয়ে ভবিষ্যতেও ডুডল তৈরি করবে গুগল।
 

Md,Forhad
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:০৫
গুগল ও ডুডল কে ধন্যবাদ।
 

Tanvir Ahammed
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:১৭
ডুডুটা দেখে খুভ ভালো লাগল। গুগুলকে অনেক ধন্যবাদ।
 

Monu
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:১৮
গুগল কে ধন্যবাদ জানাই।
 

Ashik Imran
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:২৩
আজ অবশ্য ই খুশি। তবে সেদিন খুশি হব, যেদিন সুদূর আমেরিকা থেকে (বাংলাদেশ থেকে নয়) লিখলেই ডুডল এ বাংলাদেশ কে দেখা যাবে।
 

সেজান
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:৩০
এটা তো শুধু গুগল.কম . বিডিতে দেখা যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাললী দেখালে আরও ভাল হত। যাক তাও গুগলকে ধন্যবাদ আশাকরছি সামনে গুগলের এরকম কার্যক্রম আরও দেখা যাবে।
 

আল-মামুন সোহাগ
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:৪৯
দেখে কি যে খুশি লেগেছে, ভাষায় প্রকাশের নয়। আশা করি বাংলাদেশের আরও বিশেষ বিশেষ দিনে গুগোল এই ধারা অব্যহত রাখবে। জয় বাংলা।
 

আল-মামুন সোহাগ
২০১৩.০৩.২৬ ১৩:৪৯
দেখে কি যে খুশি লেগেছে, ভাষায় প্রকাশের নয়। আশা করি বাংলাদেশের আরও বিশেষ বিশেষ দিনে গুগোল এই ধারা অব্যহত রাখবে। জয় বাংলা।
 
 
 
 
 
 
 
Previous
Next Post »
Thanks for your comment